Tuesday 6 October 2015

************************ চশমা ও ফ্যাশন *************************


শহুরেদের কথা অবশ্য আলাদা, গ্রামে বেড়ে ওঠা কোনো শিশু কিংবা কিশোর-কিশোরীরা নারিকেল পাতা দিয়ে বানানো চশমা চোখে পরেনি এমনটি হতেই পারে না। শৈশব থেকেই চশমার যখন শুরু, এখন এটাকে এড়িয়ে যাওয়া কেন? চশমা তো শুধু ফ্যাশনের জন্যই নয়, এটার প্রয়োজনও রয়েছে। চোখ আর দৃষ্টিশক্তি অক্ষুণ্ন রাখতে চশমার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

মডেলঃ সাইমন 
ছবিঃ কাব্য PK PiX
রিপোর্টারঃ মিরাজ উদ্দিন


যাদের চশমা ছাড়া এক মুহূর্ত চলে না, বস্তুটা তাদের নাকের ডগায় পাহারাদার হয়ে জুড়ে থাকে সারাক্ষণ। বর্তমানে এ পাহারাদারের কত কী ডিজাইন, বৈচিত্র্যময়তা! কখনও গোল, কখনও আয়তাকার, কখনও মোটা, কখনও একদম পাতলা, স্বচ্ছ! ডিজাইনের ক্ষেত্রেও যে কত বৈচিত্র্যের খেলা। কেউ সাদা পরছে তো কেউ কালো কিংবা বাদামি! চশমার বাহারি সব ফ্রেমের গল্প নিয়েই এ আয়োজন। প্রয়োজনই সবকিছুর উদ্ভাবক। সভ্যতার শ্রেষ্ঠ, দরকারি আবিষ্কারগুলোর অন্যতম একটি হলো এ চশমা। শুধু প্রয়োজনের খাতিরে সারা পৃথিবীতে ৯৬ মিলিয়ন মানুষ চশমা ব্যবহার করে। আর এসব অনুঘটকই চশমাকে দরকারের পাশাপাশি ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে রূপান্তরিত করে ফেলেছে। চশমা যখন পরতেই হবে, সেটা যদি একটু ফ্যাশনেবল হয়, আপনার ব্যক্তিত্ব আর রুচির ছটায় চারপাশ মুগ্ধ করতে পারে, তো মন্দ কী! আর চশমার সব সৌন্দর্য, নান্দনিকতা নির্ভর করে এর ফ্রেমের ওপর।

চশমার ফ্রেম বাছাইয়ে কত কী বাছবিচার! গায়ের রঙ থেকে শুরু করে মুখের অবয়ব, ঠোঁট সাজানোর লিপস্টিক থেকে পরনের টি-শার্ট বা ওড়না, সবকিছুর সঙ্গে মিলতাল রেখেই বেছে নিতে হবে আপনার পছন্দের ফ্রেমটি। সৃষ্টিকর্তা যাদের নাকটা একটু উঁচু, মুখটা একটু ভরাট করে বানিয়েছেন, তাদের চোখে অনায়াসেই মানিয়ে যায় বেশিরভাগ ফ্রেম। কিন্তু নাকটা একটু ছোট হলেই যত মুশকিল! আপনার নাকটা মুখের তুলনায় ছোট হলে আপনাকে এমন ফ্রেম বাছাই করতে হবে, যেন সেটা মুখের ওপর চেপে না বসে। বরং অপেক্ষাকৃত পাতলা, আয়তাকার ফ্রেমই আপনাকে দেবে নান্দনিক চশমার চাহনি! মুখটা গোলাকার হলে বেছে নিতে পারেন পুরু, চতুর্ভুজ আকৃতির চশমা। মুখের গড়ন আয়তাকার হলে আপনার পছন্দের তালিকায় থাকতে পারে কোনাযুক্ত, ওপরের দিকে চ্যাপ্টা ফ্রেম।


মডেলঃ সায়মুন


মুখের গড়ন বুঝে কেমন ফ্রেম কিনবেন, সে তো বোঝা গেল। কিন্তু ফ্রেম কিনতে গিয়ে আপনাকে এখানে থামলে চলছে না মোটেই! স্কিন টোনের সঙ্গে যায় আপনাকে এমন রঙের চশমা বেছে নিতে হবে সব সময়। চশমা কিনতে গিয়ে যারা কোনো যুক্তিতর্কের পরোয়া না করেই কালো কিংবা চকোলেট রঙের ফ্রেম কিনে ঘরে ফেরেন, তাদের কথা আলাদা। কিন্তু যারা ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ফ্রেম কিনতে চান তারা ফর্সাটে ত্বকের জন্য সাদা, বাদামি কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে লাল রঙের ফ্রেম কিনে দেখতে পারেন। ইদানীং রঙিন ফ্রেমের বেশ জয়জয়কার। সাদা-কালোর মিশেল কিংবা সবুজ-সাদা রঙের মিশেল করা ফ্রেমেও চোখ বুলিয়ে দেখতে পারেন। ফ্রেমের রঙ ও ডিজাইনের সঙ্গে বয়সেরও কিন্তু একটা বেশ জোরালো সম্পর্ক আছে। বাচ্চাদের ফ্রেম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটু রঙিন এবং পাতলাই বেশি মানানসই। বুড়োদের ক্ষেত্রে একটু ভারি, মোটা একরঙা ফ্রেমই ভালো মানায়। আর তরুণ-তরুণীরা রঙ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটু কালারফুল তো হতেই পারেন! এক্ষেত্রে শেডের ফ্রেম যেমন ব্যবহার করতে পারেন, তেমনি এনিমেল প্রিন্টের চশমাও কিনে নিতে পারেন।

তাহলে এর দেরি কিসের? এখনি রঙ্গিন চশমা এর রঙ্গিন ফ্রেমে রাঙ্গিয়ে নিন আপনার দৈনন্দিন স্টাইল ।

No comments:

Post a Comment